নিউজ ডেস্ক
করোনার প্রাদুর্ভাব আবার বাড়তে পারে আশঙ্কা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবার বাড়লে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। তাই অর্থ সাশ্রয়ে, বাজেটের অর্থ ব্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ মিতব্যয়ী হতে হবে। আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। ঠিক যেটুকু এখন আমাদের নেহাত প্রয়োজন, তার বেশি কোনও পয়সা খরচ করা চলবে না।’রবিবার (১১ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সাভার সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিট ও সংস্থাকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে এই নির্দেশ দেন তিনি।
সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর এই সংকটময় সময়েও মানুষের কল্যাণে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এবার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। যেটা দেওয়া খুবই কঠিন ছিল। তবু আমরা দিয়েছি, তারপরও বলেছি যে অর্থ খরচের ব্যাপারে সবাইকে একটু সচেতন থাকতে হবে। কারণ করোনাভাইরাস যদি আবার ব্যাপক হারে দেখা দেয় তাহলে আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা বাড়লে মানুষকে আবার আমাদের সহযোগিতা করতে হবে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, ওষুধ কিনতে হবে, হয়তো আরও ডাক্তার-নার্স লাগবে।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় দফার করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও করোনাভাইরাসের প্রভাব আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরেকবার হয়তো এই করোনাভাইরাসের প্রভাব বা প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। কারণ ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আবার নতুন করে দেখা দিচ্ছে। আমাদের এখন থেকেই সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে।’
দেশে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘খাদ্য সংকট যাতে দেখা না দেয়। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী একটা খাদ্য মন্দা দেখা দিচ্ছে। অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশে আমরা সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছিলাম বলেই আজকে সেই সমস্যাটা আমাদের দেখা দিচ্ছে না। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই।’
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে করোনা মহামারির শুরু থেকে মানুষের জীবন এবং দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে নগদ অর্থ সহায়তাসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
Discussion about this post