বিশেষ প্রতিবেদক
রোববার (১১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘করোনা পরিস্থিতি ও আমাদের কন্যাশিশুর ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন- সরকার পাঠক্রমে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনছে। সেইসাথে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে, শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণে পরিবর্তন আনছে। প্রযুক্তি ব্যবহার, নারী-প্রতিবন্ধী-বান্ধব শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষায় সবার অভিগম্যতা যেন থাকে তা সরকার নিশ্চিত করছে।
তিনি আরও বলেন, ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে সরকার। শিক্ষায় বিনিয়োগ করেছে। সেইসাথে ভবিষৎ জীবন আর জীবিকাকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী দিনে সাধারণ শিক্ষায় কারিগরি শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রুম টু রিডের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখি সরকার।
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির কারণেই আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে এ ভার্চুয়াল সভায় একত্রিত হতে পেরেছি । এখন দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে । ইন্টারনেটের ব্যয় কমিয়েছেন দেখেই এই করোনার সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য, বিচারিক কার্যক্রম আমরা ভার্চুয়ালি চালিয়ে যেতে পারছি। আজকের জীবন ও জীবিকা দুটোই সুরক্ষিত করে কিভাবে দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়া যায় সেটিতে আমরা সফল হয়েছি । এখন দেশের মোট ৬০-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ঘরে বসে সংসদ টিভির মাধ্যমে আমাদের এ ডিজিটাল শিক্ষা গ্রহণ করেছে। বাকি ৩০ শতাংশ যাদের হয়তো ইন্টারনেট সংযোগ নেই তাদের জন্য আমরা ৩৩৩ হেল্পডেস্কের মাধ্যমে সহযোগিতা করছি। আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি।
Discussion about this post