নিউজ ডেস্ক
অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম নারী চিকিৎসক অধ্যাপক জোহরা বেগম কাজীর ১০৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ডুডল প্রকাশ করেছে সার্চ জায়ান্ট গুগল। গুগলের হোমপেজে প্রবেশ করলেই দেখা যাচ্ছে বিশেষ ডুডলটি।
এতে দেখা যাচ্ছে, গুগলের অক্ষরগুলোকে সাজানো হয়েছে বিশেষভাবে। জোহরা বেগম কাজীর গলায় স্টেথেসস্কোপ ও মাথার ওপর গাছের প্রতিকৃতি। গায়ে জড়ানো হলুদ রঙের একটি পোশাক।
তার বাবা ডা. কাজী আব্দুস সাত্তার ও মায়ের নাম মোসাম্মদ আঞ্জুমান নেসা। তার আদি পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার গোপালপুর গ্রামে।
জোহরা কাজী ১৯২৯ সালে আলিগড় মুসলিম মহিলা স্কুল থেকে প্রথম বাঙালি মুসলিম হিসেবে এসএসসি, ২৩ বছর বয়সেই দিল্লির লেডি হাডিং মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৩৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমবিবিএস পাস করেন। অর্জন করেন ভাইসরয় পদক।
এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করার বছরেই জোহরা বেগম কাজী কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। প্রথমে ইয়োথমাল ওয়েমেন্স (পাবলিক) হাসপাতালে যোগ দেন। এরপর বিলাসপুর সরকারি হাসপাতালে যোগ দেন। পরবর্তীকালে মহাত্মা গান্ধীর সেবাগ্রামে অবৈতনিকভাবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি ভারতের বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনোকলজি বিভাগের প্রধান ও অনারারি প্রফেসর ছিলেন জোহরা বেগম কাজী।
১৯৭৩ সালে চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর কয়েক বছর হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে কনসালট্যান্ট হিসেবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেলে অনারারি অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেন।
জোহরা বেগম কাজী তখমা-ই-পাকিস্তান (১৯৬৪), একুশে পদক (২০০৮) ও বেগম রোকেয়া পদকসহ (২০০২) অনেক স্বীকৃতি ও পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি ২০০৭ সালের ৭ নভেম্বর মারা যান।
বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহাসিক দিনকে স্মরণ করার জন্য গুগল তাদের হোমপেজে বিশেষ লোগো প্রকাশ করে। একেই বলা হয় ডুডল।
Discussion about this post