অনলাইন ডেস্ক
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে ২০ থেকে ৩০ কোটি করোনার ভ্যাকসিন ভ্যাকসিনের ডোজ প্রস্তুত হয়ে যাবে এবং চূড়ান্ত পরীক্ষার পর ভ্যাকসিনটি ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউটের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদব।
হিল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ফার্মা এক্সিলেন্স ই-সামিট ২০২০ এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডাঃ যধব বলেন যে, পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে তবে কিছু সমস্যার ফলে টিকার কাজ বিরতও থাকছে৷ তবে তা সত্ত্বেও ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলের তৃতীয় পর্যায়ের তথ্য ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলকে জমা দেবে তারা। এই তথ্যে ডিসিজিআই সন্তুষ্ট হলেই এই ভ্যাকসিনের লাইসেন্স পাবে সিরাম ইনস্টিটিউট৷ একমাসের মধ্যেই মিলবে বিক্রির অনুমোদন৷
করোনার টিকা আবিষ্কারের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যোগ দেয় পুণের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট৷ এই গবেষণাটি চালাচ্ছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়৷ অক্সফোর্ডের কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে দেশে চলছে। গত মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষার কাজ থামাতে হয়৷ কারণ হিসেবে তারা জানান যে, গবেষণায় অংশ নেওয়ায় এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে এই পদক্ষেপ নিতে হয় তাদের৷ পরে অবশ্য আবার কাজ শুরু হয়।
এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভ্যাকিটেক একযোগে কাজ করছে । টিকা দেওয়ার পরে, শরীরে স্পাইক প্রোটিন উত্পাদিত হয়৷ এটি পরবর্তীতে শরীর সংক্রামিত হলে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিশিল্ড উৎপাদন করবে সিরাম ইনস্টিটিউট৷ এটার ১৭টি ট্রায়েল করেছে পুণের সিরাম সংস্থা।
Discussion about this post