নিজস্ব প্রতিবেদক
সনদ নির্ভর পরীক্ষা বাদ দিয়ে শ্রেণি মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দক্ষ ও যোগ্য করে তুলতে পরীক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। মুখস্থ ও সনদ নির্ভর পরীক্ষা বাদ দিয়ে স্থায়ীভাবে মূল্যায়নভিত্তিক ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংযুক্ত ছিলেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের এক পর্যায়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যাশনাল এক্সামিনেশন অ্যান্ড এসেসমেন্ট সেন্টার প্রতিবেশী দেশগুলোতেও হয়ে গেছে। আমাদের জাতীয় পরীক্ষা ও মূল্যায়ন কেন্দ্র করার বিষয়টি পরিকল্পনাধীন রয়েছে। মূল্যায়ন নিয়ে যে কাজগুলো হয়েছে, এর ধারাবাহিকতায় একটি আইনি সংস্থা তৈরি করারও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। পরীক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার জন্য গবেষণা করে এ পরিবর্তন আনার কোনও বিকল্প নেই। ’ গতানুগতিক পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে বলেই উল্লেখ করেন নওফেল।
গতানুগতিক সনদ ও পরীক্ষা নির্ভর পরীক্ষা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা উন্নত বিশ্বের কথা বলি, উন্নত দেশ হতে চাই। উন্নত বিশ্বের অংশ হতে চাই। আবার উন্নত বিশ্বের যে শিক্ষা ব্যবস্থা সেখানে কিন্তু প্রত্যেক ক্লাসে গ্রেডিং পরীক্ষা পাস, ফেল, জিপিএ-৫ এ ধরনের উন্মাদনা নেই। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নত দিকে যেতে হবে। বছরের শেষে বছরের মাঝখানে পরীক্ষা নিয়েই যে সেটি মূল্যায়ন করা যায়, তা নয়। আরও অনেক ধরনের মূল্যায়নের পদ্ধতি রয়েছে। আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়নের যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে সেগুলোতে যেতে চাচ্ছি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, সামগ্রিকভাবে সেগুলো চিহ্নিত করে দুর্বলতা দূর করতে চাই।
আমরা পরীক্ষা ভীতি, পরীক্ষার চাপ, শারীরিক মানসিক চাপ চাই না। শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্য দিয়ে জ্ঞান অর্জন করবে, দক্ষতা অর্জন করবে, সুযোগ্য নাগরিক হবে। আর সে কারণে সনদ ও শুধুমাত্র পরীক্ষা নির্ভর শিক্ষা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।‘
ভার্চুয়াল এই প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও যুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।
Discussion about this post