জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ১ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথেই (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম) মাদরাসার ইবতেদায়ি ও দাখিল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছে। এদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করে তা জমা দিতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ৮ সপ্তাহে পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নির্ধারিত সময়ে অ্যাসাইনমেন্টে বিষয়বস্তু জানিয়ে দেবে।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এনসিটিবির পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির আলোকে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সব ডিসি, ইউএনও, আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ বিষয়টি সব মাদরাসাগুলোতে মূল্যায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একই সাথে এনসিটিবির পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি আলোকে মূল্যায়ন নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে।
এনসিটিবির পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রামণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রত্যক্ষ শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সংগতকারণে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের নির্ধারিত পাঠ্যসূচি পূর্ণাঙ্গভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে চলতি বছরের পাঠ্যসূটি সংক্ষিপ্ত ও সংকোচন করে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সরকার বার্ষিক পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীকে শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত রাভতে বাড়ির কাজ ও অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঠ্যসূচি ও মূল্যায়ন টুলস প্রণয়নের ক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহ বিবেচনায় ৮টি সপ্তাহ পাওয়া যাবে। পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচিতে কোন সপ্তাগে শিক্ষার্থীর কি মূল্যায়ন করা হবে তা নির্দেশিত আছে। প্রথম সপ্তাহে মূল্যায়নের পর ২য় সপ্তাহের প্রস্তুতি নিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৮ সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন কার্যক্রম শেষ হবে।
এক্ষেত্রে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি সম্পন্ন করতে হবে। প্রস্তাবিত মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীকে প্রতি সপ্তাহে প্রত্যেক বিষয়ে একটি করে কাজ দিতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের ৮ সপ্তাহে প্রস্তাবিত ৮টি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিষয় ভিত্তিক কাজের মূল্যায়ন করবেন। এ কার্যক্রমে প্রতি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সব মূল্যায়ন রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।
Discussion about this post