জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
করোনা সংক্রমণের মাঝে লিখিত পরীক্ষা বাতিল চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন এমসিকিউ উত্তীর্ণ ১৩ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী।
জানা গেছে, বার কাউন্সিল থেকে আগে শুধু মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) মাধ্যমে আইনজীবীদের সনদ প্রদান করা হতো। কিন্তু আইন শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়তে থাকায় বর্তমানে আইনজীবী হতে হলে নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ), লিখিত ও মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার নতুন নিয়ম অনুসারে, ওই তিন ধাপের যেকোনও একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
বার কাউন্সিল আরও জানায়, শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বারেও অনুত্তীর্ণ হলে তাদের পুনরায় শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সে অনুসারে ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে এমসিকিউ উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থীসহ সর্বমোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদ প্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
এদিকে প্রায় তিন বছর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এমসিকিউ পরীক্ষা নিয়েছিল বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। এরপর করোনার মাঝে তারিখ নির্ধারণ করেও কাঙ্ক্ষিত হল (পরীক্ষার হল) না পেয়ে লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ফলে অনিশ্চয়তার মাঝে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা বেকার দিনযাপন শুরু করেন। তাই করোনাকালে এমসিকিউ উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশদের লিখিত পরীক্ষার অপেক্ষায় না থেকে সরাসরি ভাইভা নিয়ে সনদ প্রদানের দাবি জানান তারা। কিন্তু বার কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কোনও গ্রাহ্য না করায় আন্দোলনকারীরা বিষয়টি আইনমন্ত্রীর নজরে আনেন।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষানবিশদের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব দ্রুত এনরোলমেন্ট কমিটি আলোচনায় বসবে। সে আলোচনায় কী কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে, তা এনরোলমেন্ট কমিটির সদস্যদের ওপর নির্ভর করছে।’
Discussion about this post