নতুন সাজে চিড়িয়াখানা, মাসের প্রথম রোববার বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ :করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২০ মার্চ বন্ধ হওয়ার পর জাতীয় চিড়িয়াখানায় এসেছে শতাধিক নতুন প্রাণী। ‘নিউ নরমাল’ আবহে বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন ঘটিয়ে আজ খুলছে চিড়িয়াখানা। দর্শনার্থীদের পদচারণায় আবার ভাঙবে সুনসান নীরবতা। দর্শক সমাগমও ভালোই হবে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
তবে আগে যেখানে প্রতিদিন আট থেকে ১০ হাজার মানুষের আনাগোনা থাকত, এখন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১০ শর্ত মেনে এক দিনে সর্বোচ্চ দুই হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানান জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর আবদুল লতিফ। তিনি বলেন, দর্শনার্থীরা প্রবেশের সময় ফুটপাথ ব্যবহার করবেন, সেখানে জীবাণুনাশক দেওয়া আছে। প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্যানারে তাদের তাপমাত্রা মাপা হবে। প্রাণিবিজ্ঞান জাদুঘরে দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিনামূল্যে আলোকচিত্রও দেখতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশনায় মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গত শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে টিকিট কাউন্টারের সামনে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে আঁকা হয়েছে বৃত্তাকার চিহ্ন, টানানো হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যানার। চিড়িয়াখানায় এবার শিশুদের জন্য যুক্ত হচ্ছে শিশুপার্ক। ঘুরতে আসা শিশুদের খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী রাখা হচ্ছে এই পার্কে।
সাত মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আজ রোববার খুলছে জাতীয় জাদুঘর। দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জাদুঘরে প্রবেশের টিকিট অনলাইন(http://nationalmuseumticket.gov.bd/) থেকে সংগ্রহ করতে হবে। টিকিটের দাম আগের মতোই। তবে ৪ শতাংশ অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০০ থেকে ৮০০ দর্শনার্থী প্রবেশের সুযোগ পাবেন। জাদুঘরে প্রবেশের আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করার ব্যবস্থা থাকবে। সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এসব দেখার জন্য প্রতিটি ফ্লোরে আলাদা কমিটি করা হয়েছে বলে জানান জাদুঘরের মহাপরিচালক।
এদিকে সাত মাস বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবন ও মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া বনাঞ্চল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের এসব স্থানে ভ্রমণ করতে হবে। বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার জানান, করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একটি জাহাজে ৫০ জনের বেশি না যাওয়া এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ ট্যুর অপারেটর ও পর্যটকদের সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আজ থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান দশনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ।
Discussion about this post