নিজস্ব প্রতিবেদক
শিখনফল মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্ট নেয়ার জন্য মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের (ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি) কোনো ফি আদায় করা যাবে না বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কীভাবে টিউশন ফি আদায় করবে, সে বিষয়ে শিগগিরই নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে প্রায় সাত আট মাস। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী, সপ্তাহে একদিন প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট টপিক সংগ্রহ ও জমা দেবে শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এটিকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে বাড়তি অর্থ আয় করছেন কিছু শিক্ষক। আবার স্কুলে যেতেও বাধ্য করা হচ্ছে কোথাও কোথাও। কোথাও নির্দিষ্ট শিক্ষকের অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে দোকানে যার বিনিময় মূল্য ৩০ থেকে ৫০ টাকা। আবার অ্যাসাইনমেন্ট এর দোহাই দিয়ে স্কুলের বেতন পরিশোধে চাপ প্রদান করা হচ্ছে ।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থীদের শিখনফল মূল্যায়ন করতে যে অ্যাসাইনমেন্ট নেয়া হচ্ছে সেজন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ফি নেয়া যাবে না।
আর টিউশন ফি আদায় করা নিয়ে শিগগিরই একটি নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান মহাপরিচালক।
অধিদপ্তরের অঞ্চলিক কার্যালয়ের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট চলাকালীন পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোনো অর্থ বা ফি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে না নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।করোনার কারণে এবার বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়েই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ওপরের শ্রেণিতে তোলা হবে।
Discussion about this post