জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ঘ’ ও ‘চ’ ইউনিট বাতিলের কোনো সিদ্ধান্তই নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে শুধু আলোচনা হয়েছিল। সাধারণ জ্ঞানের নামে পাঠ্যবইয়ের বাইরে থেকে প্রশ্ন করার কারণে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মাঝে এক ধরনের বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে পাঠ্যবই নির্ভর।
বুধবার এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ (ইরাব)-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন। এসময় ইরাব সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক শরীফুল আলম সুমনসহ অন্য শিক্ষা সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রীক যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট নিয়ে যে আলোচনা উঠে এসেছে, আসলে এর শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। এরপর থেকে নানা ফোরামে নানাভাবে এর আলোচনা হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ডিনস কমিটির সভায়ও এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এখনও এ বিষয়ে আরো পর্যালোচনার সুযোগ রয়েছে। এরপর সবদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ডিনস কমিটির সভাতেই একজন প্রস্তাব এনেছেন যে, ‘ক’ ইউনিটের একটি পরীক্ষা দিয়েই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক পাঁচটি অনুষদে ভর্তি নেয়া হচ্ছে। তাহলে প্রায় একই প্যাটার্নের প্রশ্ন দিয়ে কেন দুইটি পরীক্ষা হবে? আসলে ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট নিয়ে এখনো আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমিয়ে আনা। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমরা ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র বিভাগ পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি। তবে এ উদ্যোগগুলোর খবর সময় ভুলভাবে প্রচার করা হয়। আসলে ‘ঘ’ ও ‘চ’ ইউনিট বাতিলের কোনো সিদ্ধান্তই নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে শুধু আলোচনা হয়েছিল। বরং ডিনস কমিটির সভার রেজুল্যুশনে চারুকলায় ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে।
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ না নেয়া প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে নিয়মিত শিক্ষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, এমিরেটাস অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের পরামর্শও নিয়েছিলাম। তারা আমাদের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নেয়ার বিষয়ে বেশ কিছু চিন্তার খোরাক দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমাদের দেশের পাবলিক পরীক্ষার ক্রমবর্ধমান মান আরো বাড়াতে হবে। অন্যদিকে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ার ওপর আমাদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে পাশাপাশি দেশে ও দেশের বাইরের এটি সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য।
Discussion about this post