এসএসসির ফলাফলের ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসির ফলাফলের ২৫ শতাংশ নিয়ে এইচএসসির গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই এই ফলাফল প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ব্যবহারিক ও অতিরিক্ত নম্বর বাদ দিয়ে এইচএসসির ফলাফল তৈরির সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, বিজ্ঞানের বেশ কিছু বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হয়। তাই এই নম্বর বিবেচনার বাইরে রাখা হলে মেধাবী হয়েও পিছিয়ে পড়বেন বিজ্ঞানের শিক্ষার্র্থীরা।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার অটো পাসের নম্বর মূল্যায়ন কমিটি। শিগগিরই এটি অনুমোদন দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠালে ফলাফল তৈরির কাজ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সব পরীক্ষার্থীকে অটো পাস ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সাথে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর মূল্যায়ন করে এ পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এইচএসসির ফলাফল তৈরিতে সাধারণ একটি নীতিমালা করা হয়েছে। সেখানে এসএসসির অতিরিক্ত ও ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর বিবেচনার বাইরে রাখার কথা বলা হয়েছে। আগের পরীক্ষা দু’টির নম্বর ও পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর ও গ্রেড নির্ণয় করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, জেএসসি ও এসএসসির সব বিষয়ে যাদের ভালো নম্বর রয়েছে, তাদের এইচএসসিতেও ভালো নম্বর বা জিপিএ থাকবে। তবে যারা অতিরিক্ত বিষয় ও ব্যবহারিকে নম্বর বেশি পেয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে, এইচএসসিতে তাদের জিপিএ কমে যেতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন এ বিষয়ে বলেন, এইচএসসির ফলাফল তৈরি করায় একটি জটিলতা রয়েছে। তবে যেহেতু এ বিষয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি শুরু থেকে কাজ করছে; আশা করছি তারা একটি সহজ ও সঠিক সমাধানে পৌঁছতে পারবে। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে একটি প্রস্তাবনা আমরা পেয়েছি। সেটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর ওপরে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা হবে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠানো হবে। চলতি মাসের শেষের দিকে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
Discussion about this post