নিজস্ব প্রতিবেদক
“এখন কথা হল, কিভাবে আমরা শিক্ষার সদ্ব্যবহার করতে পারি, সব শিশুর জন্য। কারণ এই মহামারীর মধ্যে সব দেশের সব শিশুকে ভুগতে হচ্ছে। তারা শিক্ষা গ্রহণের নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায় প্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহারের কথা আমাদের ভাবতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রীকন্যা , অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল গত বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০ উপলক্ষে এক ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে এমন পরামর্শ দেন ।
পুতুল বলেন, বৈশ্বিক মহামারীর এ সময়ে অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি শিক্ষার প্রতিবন্ধকতার বিষয়টিও এসেছে। অটিজম আর মানসিক বৈকল্যে ভুগতে থাকা শিশুদের কিভাবে আমরা শিক্ষাদান করব, কীভাবে আমরা জ্ঞান বিনিময় করব, সেটা নিয়ে এ সেশন থেকে আমরা জানব।
সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) দূত হিসেবেও কাজ করছেন তিনি।
‘সূচনা ফাউন্ডেশন: এ রোডম্যাপ ফর এনশিওরিং দ্য এমপ্লয়মেন্ট অফ পার্সনস উইথ নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস’ শীর্ষক ওই আয়োজনে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, এ সময়ে যখন শিক্ষার প্রসঙ্গটি আসবে, তখন এটাই তো সময় ভাবার যে আমরা শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে করতে পারি।
“করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এখন শিক্ষার্থীরা সবাই তাদের নিজেদের বাড়িতেই আছে। যদিও আমরা ন্যাশনাল কারিকুলামটাই ফলো করছি, কিন্তু তারপরও শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিবারকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।”
সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সায়মা আরও বলেন, আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে; তারপরও নিজেদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যদি আমরা গড়ে তুলতে পারি, তাহলে সেটা শিক্ষার্থীদের জন্য সেটা দারুণ হবে।
ওই ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পেরুর অ্যান সুলিভান সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক লিলিয়ান মায়ো ওর্তেগা।
Discussion about this post