আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারের জরুরি অনুমোদনের পর এবার ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার থেকে দেশটিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ভ্যাকসিন বিতরণ তদারকি করার দায়িত্বে থাকা জেনারেল গুস্তাভ পার্না জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে। এর আগে গত শনিবার ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। এই ঘটনাকে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
এদিকে, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। একদিনেই দেশটিতে ৩ হাজার ৩০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জন্স হপকিন্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। গত নভেম্বর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রায় এক বছর হয়ে গেল। প্রথমবার চীনে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লেও এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির নাম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে সবাইকে ছাড়িয়ে অনেকদিন ধরেই শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে দেশটি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩৬৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৮২ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৫ জন।
এর আগে যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হয় গত মঙ্গলবার। দেশটিতে প্রথমবারের মতো ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৯০ বছর বয়সী মার্গারেট কেনান। তিনি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের এনিস্কিলেন শহরের বাসিন্দা।
যুক্তরাজ্যের প্রায় ৭০টি হাসপাতালে মঙ্গলবার ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মী, ৮০ বছরের বেশি বয়সী লোকজন ও কেয়ারহোমের কর্মীদেরকেই প্রথম সারিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে লোকজন আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
Discussion about this post