নিজস্ব প্রতিবেদক
মহান বিজয় দিবসে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা বিকৃতির প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ রংপুরের সাধারণ মানুষ।বিকেলে ক্যাম্পাস এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সবুজের মধ্যে লাল বৃত্তের বাইরে চারকোণা লাল আকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে শিক্ষকদের কয়েকটি ছবি নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ছবিতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মন, অর্থ ও হিসাব দফতরের পরিচালক, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামীম হোসাইন, ইতিহাসের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী, মার্কেটিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাসুদুল হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রাম প্রসাদ, সহকারী অধ্যাপক কাইয়ুম এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রহমতউল্লাহ একটি বিকৃত পতাকা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন।
বিষয়টি নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত, কারণ এরা সবাই ‘শিক্ষক’!
ওই ছবিতে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি তাবিউর রহমান এক স্টাটাসে এটাকে ‘পতাকা নয়’ উল্লেখ করে ‘কাপড়’ হিসেবে দাবী করেন। জাতীয় পতাকার সাথে এই কাপড়কে তুলনা না করতেও আহবান জানান তিনি। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চান তিনি। এটিকে অনভিপ্রেত বলেও দাবি করেন।
জাতীয় পতাকা বিকৃত করে বিজয় দিবস উদযাপনের ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃবিতে পরিষদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বেগম রেকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর নির্দেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকাকে অবমানার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।
Discussion about this post