প্রতি বছর গণভবনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তুরের বই তুলে দিয়ে এর উদ্বোধন করা হবে। পরে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেওয়া হবে।
তাই উৎসবের মধ্য দিয়ে বই পৌঁছানোর সুযোগ নেই। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে স্কুলে এসে বই নিয়ে যাবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বিতরণ নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, এনসিটিবির উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিস পর্যন্ত বই পৌঁছানোর দায়িত্ব। বাকি দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত মাধ্যমিকের ১৩ কোটি এবং প্রাথমিকের ৮ কোটি মিলে ২১ কোটি বই উপজেলা শিক্ষা অফিস পর্যন্ত পৌঁছানো হয়েছে। বাকি বই পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।
সূত্র জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুলে বই পৌঁছানোর জন্য ড্রাফট তৈরি করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে এই ড্রাফট অনুমোদন করবে, যাতে দুই মন্ত্রণালয়ের বই পৌঁছানোর প্রক্রিয়া একই ধরনের হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সুস্থ হলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করছে।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবারে বই উৎসব পালন করা না হলেও প্রতি বছরের মতো এবারও ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তক উদ্বোধন করবেন। করোনার কারণে এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই মন্ত্রী ও সচিবরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে উপস্থিত হবেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।
Discussion about this post