নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের কারণে দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনটি ইউনিটে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। গত শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ভর্তি পরীক্ষার মান বণ্টন ও পরীক্ষা পদ্ধতিসহ এ সংক্রান্ত এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে নেগেটিভ মার্কিং নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সমন্বয়ের গঠিত কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘নেগেটিভ মার্কিংয়ের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সামনে অনেক সময় আছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রচলিত সাধারণ যে নিয়ম আছে, সেভাবেই নেগেটিভ মার্কিং থাকবে। কোনো পরিবর্তন করা হবে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।’
সূত্র জানায়, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ২০ নম্বর, রসায়নে ২০, জীববিজ্ঞান-গণিত এবং আইসিটি মিলে ৪০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। জীববিজ্ঞান, আইসিটি ও গণিতের মধ্যে যে কোনো দুইটি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। আর বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ১০ নম্বর করে মোট ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
এছাড়া বাণিজ্য বিভাগের জন্য অ্যাকাউন্টিংয়ে ২৫ নম্বর, বিজনেস অর্গানাইজেসন ও ম্যানেজমেন্টে ২৫, আইসিটিতে ২৫, বাংলায় ১৩ এবং ইংরেজি বিষয়ে ১২ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। আর মানিবক বিভাগে বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ এবং আইসিটি বিষয়ে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। তবে কোনো লিখিত পরীক্ষা থাকছে না।
এছাড়া গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএর চতুর্থ বিষয় ছাড়া সাত। ব্যবসায় শিক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএর চতুর্থ বিষয় ছাড়া সাড়ে ছয় এবং মানবিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএর চতুর্থ বিষয় ছাড়া ছয়।
জানা গেছে, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা কমিটি শুধু পরীক্ষাটা নেবে। পরীক্ষার ফল দেয়ার পর কোন বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে ভর্তি নেবে সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর কত মার্ক যোগ করা হবে, গ্রুপ পরিবতর্ন ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে নির্ভর করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো তাদের ভর্তির শর্ত নির্ধারণ করবে।
যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
Discussion about this post