যুক্তরাজ্যে নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে শঙ্কা এখন পুরো দুনিয়ায়। বিশেষ করে শিশুরাও নতুন ধরণের এই ভাইরাসের শিকার হতে পারে এমনটাই ধারণা চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের। যদিও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে তাদের তৈরি টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষায় তৎপর হয়ে উঠেছে।
নতুন ধরণের করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই যুক্তরাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমণ ছড়ানোর ১২টি এলাকাকে চিহ্নিত করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্শ্ববর্তী ইউরোপের অন্যদেশগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিজ্ঞানীরা বলছে, অন্যান্য ধরণের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি দ্রুত সংক্রমণশীল রূপান্তরিত এই ভাইরাস শিশুদের অনেক সহজে আক্রান্ত করতে পারে। তবে, করোনাভাইরাসের এ নতুন ধরণ প্রতিরোধেও নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন কার্যকর বলে দাবি করেছে মডার্না, অক্সফোর্ড, ফাইজার-বায়োএনটেক।
করোনা ভ্যাকসিন নিজে কাজ করা বায়োএনটেকের প্রধান গবেষক ও স্বত্বাধিকারী উগুর শাহিন জানান, আমাদের টিকা ২০টিরও বেশি ভাইরাসের রূপান্তরিত অবস্থার পরীক্ষা করে দেখেছি। আমাদের টিকা করোনা প্রতিরোধে সক্ষম। তাই নতুন ধরণের ভাইরাসেও কাজ করবে বায়োএনটেকের টিকা।’
এদিকে, একের পর এক দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ বাতিল করায় অনেকটা বিপাকে দেশটি। তবে, আলোচনার পর দেশটির সাথে সীমান্ত খুলে দিয়েছে ফ্রান্স। শিথিল করা হয়েছে বিমান, রেল এবং সমুদ্র পথে চলাচল। অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ইতালি, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস এর পর এবার আইসল্যান্ডেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতের কর্ণাটক ও মুম্বাইয়ে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। ভুটানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় বুধবার থেকে ৭ দিনের জন্য লকডাউন জারি করা হয়েছে।
করোনার ছোবল থেকে রেহাই পেলনা বরফে আচ্ছাদিত অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশও। প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপে অবস্থিত বার্নার্ডো ও’হিগিনস গবেষণা কেন্দ্রের ৩৬ জনের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
Discussion about this post