নিউজ ডেস্ক
যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের মধ্যে জানা গেলো ভয়ংকর এক তথ্য, যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখের কিছু নয়। যুক্তরাজ্যের আগেই অক্টোবরে নাকি দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছিল।
করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে কথা হয় ড. সেলিম খানের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেইন আমরা বাংলাদেশে দুই মাস আগেই পেয়েছি। আমাদের পর এ নতুন স্ট্রেইন ইংল্যান্ড পেয়েছে। ইংল্যান্ড নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে নতুন স্ট্রেইন পায়। এই দুইমাসে আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন কোনো ঘটনা ঘটেনি, সবকিছুই ঠিক আছে।
‘ইংল্যান্ডে যখন হটাৎ করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যায়, তখন তারা গবেষণা করে দেখে, নতুন স্ট্রেইনের সঙ্গে আরও কিছু মিউটেশন হয়েছে। ইংল্যান্ড যখন এটা নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করে, তখন আমরা মিলিয়ে দেখি, তাদের ওই স্ট্রেইনের সঙ্গে আমাদের দেশে দুমাস আগে শনাক্ত হওয়া স্ট্রেইনের কিছুটা মিল আছে। ওই স্ট্রেইন ছিল একটা নতুন ধরনের মিউটেশন। এই স্ট্রেইনের যে প্রধান মিউটেশন ছিল, তা আমরা দেশে অক্টোবর মাসের স্যাম্পলে পেয়েছি। ’
করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন নিয়ে ড. সেলিম কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। না পারার কারণ সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা হলো, আমাদের দেশে নতুন এ স্ট্রেইনের কোনো বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়নি। তাদের দেশে (ব্রিটেন) দ্রুত সংক্রমণ বাড়ার ফলে, তারা এটা নিয়ে গবেষণা করেছে। আমাদের দেশে যেহেতু এই স্ট্রেইন সংক্রমণ বাড়ায়নি, তাই আমরা এটা নিয়ে গবেষণা করিনি। প্রতিনিয়ত করোনা ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে, তবে সব মিউটেশনেতো আর সিরিয়াস কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।
তবে, ড. সেলিম শোনালেন করোনার নতুন এ ধরন সম্পর্কে আশার কথা। তিনি বলেন, নতুন এই মিউটেশন তেমন কোনো ক্ষতি করেনি, আশা করছি তেমন কোনো ক্ষতি ভবিষ্যতেও ঘটাবেও না। যেহেতু ২ থেকে আড়াই মাস পার হয়ে গেছে তাই ক্ষতির সম্ভাবনা কম।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন যে একটি স্ট্রেইন পাওয়া গেছে, সেটি আগের স্ট্রেইনটির তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে ছড়ায় বলে জানান গবেষকরা।
ড. সেলিম খান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।
Discussion about this post