নিউজ ডেস্ক
পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। এরই মধ্যে বছরের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ দেখেছে দেশ। গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ফের শীতের তীব্রতা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনি ও রবিবার প্রায় সারা দেশেই শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে জানিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে গিয়ে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। দুদিন পর আবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে অতি মাত্রায় কমার শঙ্কা আপাতত নেই। রংপুর ও রাজশাহীর কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। দুদিন পর আবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তখন শৈত্যপ্রবাহও দূরীভূত হতে পারে। এছাড়া আজ সারাদেশেই দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
গত শুক্রবার রংপুরের তিন জেলায় মৃদু মাত্রায় শুরু হয় এ মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। পরের দিন শনিবার তা চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া বাকি বিভাগগুলোর অন্তত ৩৭টি জেলায় বিস্তার লাভ করে। পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা মৃদু থেকে বেড়ে মাঝারি মাত্রায় পৌঁছে। ওইদিন কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এখন পর্যন্ত এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এরপর গত রবিবার থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং শৈত্যপ্রবাহের বিস্তারও কমতে থাকে।
অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের উত্তর পশ্চিমাংশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
Discussion about this post