শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফল প্রকাশের নীতিমালা এখনও অনুমোদন হয়নি।তাই ডিসেম্বরে নয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা হতে পারে বলে শিক্ষা বোর্ড সুত্রে জানা গেছে। ফল প্রকাশের আগে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা সংক্রান্ত আইনে একটা ধারা সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। সেটাও এখনও হয়নি। সব মিলিয়ে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ ফল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, আগামী মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে এক ব্রিফিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে ফল প্রকাশের দিনক্ষণ ঘোষণার বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়। অপেক্ষমাণ সকল পরীক্ষার্থীকে অটোপাস দেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অটোপাসের ফল তৈরিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের সমন্বয়ে আট সদস্যের গ্রেড মূল্যায়ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। চলতি মাসের শুরুতে তারা ফল তৈরিতে জিপিএ গ্রেড নির্ণয়ের বেশ কয়েকটি প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠান। তার ওপর ভিত্তি করে একটি নীতিমালা করে ফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন না হওয়ায় তা পিছিয়ে গেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, ফল তৈরির নীতিমালা অনুমোদন হলে পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে এইচএসসির ফল তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থকে অনুমোদন হয়ে এলে ফল তৈরির পরবর্তী কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, টেকনিক্যাল কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী জেএসসি পরীক্ষার ফলে ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলে ৭৫ শতাংশ নম্বর মূল্যায়ন করা হবে। তবে যারা জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তাদের ক্ষেত্রে এসএসসির ফলকে কেন্দ্র করে নম্বর নির্ধারণ করা হবে। বিষয়ভিত্তিক উন্নতির ক্ষেত্রে আগের ক্লাসের সেই বিষয়ের ফল মূল্যায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ফলাফলের গ্রেড মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, আগামীকাল কিংবা আগামী ২৮ ডিসেম্বর বা ৩১ ডিসেম্বর ফল দেব এখনও আমরা সেই পর্যায়ে যায়নি। আমরা অপেক্ষা করছি।
Discussion about this post