শিক্ষার আলো ডেস্ক
আজ পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ১১৮তম জন্মদিন । ১৯০৩ সালে ফরিদপুরের সদর উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামে আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন পল্লীকবি জসীমউদ্দীন। যার বাংলা সাহিত্যে ফুটে উঠেছে পল্লীর জনগণের জীবন, সংস্কৃতি, তাদের সুখ-দুঃখ নিয়ে ব্যাপকভাবে কবিতা, নাটক ও খ্যাতিসম্পন্ন বেশকিছু গান। কবি জসীমউদ্দীনের সাহিত্যচর্চা শুরু হয় ছোটবেলা থেকেই ।
তিনি ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল ও ফরিদপুর জেলা স্কুলে অধ্যয়ন করেন। ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং এরপর এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৩১ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সঙ্গে লোকসাহিত্য সংগ্রহ কাজে চাকরি করেন। ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৪ সালে ঢাবির চাকরি ছেড়ে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে রবীন্দ্র বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করে এই কবিকে। পল্লী জনগণের কাছাকাছি থেকেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন ‘কবর’ কবিতাটি রচনা করেন। সেই সময়েই পাঠ্যবইয়ে কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত হয়। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় এ কবির লেখা উপন্যাস ‘বেদের মেয়ে’, কাব্য ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’, ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ এবং ‘কবর’, আসমানীসহ বিভিন্ন কবিতা পাঠকমনে নাড়া দেয়। তার নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যটি দি ফিল্ড অব এমব্রয়ডার্ড কুইল্ট এবং বাঙালির হাসির গল্পগ্রন্থটি ফোক টেল্স অব ইস্ট পাকিস্তান নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়।
জসীম উদ্দীন প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরস্কার (১৯৫৮), বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক (১৯৭৬) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (মরণোত্তর, ১৯৭৮) ভূষিত হন।
তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন।১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
Discussion about this post