নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী উত্তরার ন্যাশনাল পাবলিক কলেজের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করে আদেশ জারি করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। অর্থের বিনিময়েই জিপিএ-৫ বিক্রি করার ‘প্রলোভন’ দেখানোয় এই কলেজের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করল ঢাকা বোর্ড।
কলেজটির কথিত চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের ‘জিপিএ-৫ বাড়িয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়েছে’ বলে প্রমাণ মিলেছে। এছাড়াও বিধিমোতাবেক প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত না হওয়া, কাম্য শিক্ষার্থী না থাকা ও বিভিন্ন অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা না থাকায় কলেজটির পাঠদানের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সাবেক উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অদ্বৈত কুমার রায়, ন্যাশনাল পাবলিক কলেজ ও দি ব্রিলিয়ান্ট কলেজে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ বিক্রির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করে ঢাকা বোর্ড। এ কলেজ দুটির বিরুদ্ধে ওঠা জিপিএ-৫ বিক্রির নামে ‘প্রতারণার’ অভিযোগের সত্যতা পায় কমিটি। তাই, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে কলেজ দুটির পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছিল ঢাকা বোর্ড।
সে আদেশ বাতিল চেয়ে রিট করে ন্যাশনাল পাবলিক কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত করার আদেশটি আদালত ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাস পর্যন্ত স্থগিত করে। সে সময় শেষ হয়েছে। হাইকোর্টের আর কোন আদেশ না থাকায় ন্যাশনাল পাবলিক কলেজের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করেছে ঢাকা বোর্ড।
তবে, জিপিএ-৫ বিক্রি চক্রের মূল হোতা ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সাবেক উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অদ্বৈত কুমার রায়কে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে বদলি করা হয়। সেখানে তিনি ক্লাস করিয়ে নায়েমে চারমাসব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে বিদেশে পাড়ি জমান অভিযুক্ত কর্মকর্তা। অদ্বৈতর বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি।
ঢাকা বোর্ড জানিয়েছে, জিপিএ-৫ বিক্রির ‘প্রলোভন’ দেখানো ছাড়াও ন্যাশনাল পাবলিক কলেজের নানা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটিকে শিক্ষকদের কোন নিয়োগ পত্র দেখাতে পারেনি। কলেজের কোন কমিটি নেই। পাঠদানের মেয়াদও উত্তীর্ণ।
Discussion about this post