শিক্ষার আলো ডেস্ক
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত যাত্রামোহন সেনগুপ্তের বাড়ি ভাঙার পেছনে দুরভিসন্ধি রয়েছে।
শনিবার বিকেলে যাত্রামোহন সেনগুপ্তের বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নওফেল বলেন, অর্পিত সম্পত্তিটি কীভাবে সরকারের মালিকানা থেকে ব্যক্তিমালিকানায় চলে আসছে এটাও খতিয়ে দেখা হবে। হঠাৎ করে এটি দখল করার নামে যে ভেঙে ফেলা হয়েছে তা দুরভিসন্ধিমূলক। জাদুঘর স্থাপনের দাবি উঠেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জাদুঘর করার ব্যাপারে আমার অবশ্যই ভূমিকা থাকবে। যাত্রামোহন সেন (জেএম সেন) হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায়ও তিনি জেএম সেন হলে এসেছিলেন। তিনি অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে অবগত আছেন।
এটির ঐতিহাসিক মূল্য আছে উল্লেখ করে নওফেল আরও বলেন, আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করব। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর করার মাধ্যমে জাদুঘর করার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জেলা প্রশাসনের ইজারা নিয়ে শিশুবাগ নামে একটি স্কুল পরিচালিত হচ্ছিল যাত্রামোহন সেনের ওই ভবনে। গত ৪ জানুয়ারি ভবনটি ভাঙার চেষ্টা করে একটি পক্ষ। এ সময় বুলডোজার দিয়ে তারা ভবনের সামনের অংশ ও ভেঙে ফেলে।
Discussion about this post