গাইবান্ধা সদরের তুলসীঘাটের বেবী বেগম। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিন সন্তানের কেউই আর মাকে দেখেন না। নিজের কোন বাড়ি না থাকায় মাছের বাজারের পাশে ছোট একটি ঘর তুলে তাতে কোনো রকমে বসবাস করতেন।
এবার মুজিব বর্ষের বিশেষ উপহার হিসেবে পাকা বাড়ি পাচ্ছেন তিনি। বাড়ির কাজ প্রায় শেষের দিকে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ই জানুয়ারি বাড়ি বুঝে পাবেন তিনি। শুধু বেবী বেগম নন, প্রতিবন্ধী রোকেয়া, ময়নারাও বাড়ি, জমি, পাওয়ার খবরে ভীষণ খুশি।
বেবী বেগম বলেন, ‘আগে অনেক খারাপ অবস্থায় ছিলাম। এখন ঘর পেয়ে খুব ভালো লাগছে। কোনদিন চিন্তা করি নাই পাকা ঘরে আসবো।’
এলাকাবাসি বলেন, ‘অসহায় এই মানুষগুলোর ঘর পাওয়ার খবরে আমরা আনন্দিত। ঘর দেয়ার মত অবস্থা তাদের নাই। তাই তাদের জন্য এই ঘর নির্মান করা হয়েছে।’
তুলসীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গোলাম মওলা বলেন, ‘জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অত্যন্ত ধন্যবাদ জানাই। উনার দ্বারাই সম্ভব হয়েছে এই আশ্রয়হীন-ভূমিহীন মানুষের আশ্রয়স্থল। পাকা ঘরে থাকবে এ কথা তারা জিবনেও ভাবে নাই।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ের ঘরগুলো করা হচ্ছে। এগুলো কাজ প্রায় শেষ। শুধু ঘরই নয় এটা খাস জমি ঘরের সাথে জমির দলিলও হস্তান্তর করা হবে। গাইবান্ধায় ৬ হাজার ৩৬ গৃহহীন পরিবারকে পর্যায়ক্রমে এর আওতায় আনা হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কেউ গৃহহীন থাকবে না, এভাবেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এমনটাই প্রত্যাশা মানুষের।
Discussion about this post