নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য অত্যাধুনিক একটি গবেষণাগার স্থাপন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। এ জন্য গঠন করা হয়েছে একটি গবেষণা দল। প্রাথমিক তথ্যও ডাটাব্যাংকে জমা দিয়েছে৷ এসব তথ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে করোনা গবেষণায় অগ্রগতির জন্য তিনটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নামও রয়েছে। আর এ তথ্য জানাতেই জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিসিএসআইআর।
আজ বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সায়েন্স ল্যাবের বিসিএসআইআর’র সভাকক্ষে ‘করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের গবেষণার অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান ডা. মো. আফতাব আলী শেখ।
সংবাদ সম্মেলনটি কী উদ্দেশ্যে ডাকা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের গবেষণা হচ্ছে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দেখছে। তারা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে।
সিএনএন-এর রিপোর্টে বাংলাদেশের নাম আসাটা কত বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা সেখানে বাংলাদেশের গবেষণার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমটির সিনিয়র মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট এলিজাবেথ কোহেন তার প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গবেষণাকে তুলনা করেছেন।
এ বিষয়টি জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানানোর মতো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ প্রতিবেদন প্রকাশকে আমরা আমাদের অগ্রগতি হিসেবে দেখছি, বিশ্বের স্বীকৃতি হিসেবে দেখছি। এই শুধু না, গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) মুখপাত্র হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের গবেষণা টিমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে।
এ পর্যন্ত ৩০৪টি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে কী ফলাফল পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নে বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান বলেন, গবেষণা এখনো পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। আমরা প্রাথমিক তথ্যগুলো ডাটা ব্যাংকে জমা দিয়েছি।
এ সময় জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের গবেষণা দলের প্রধান ডা. মো. সেলিম খানসহ অন্যান্য সহযোগী গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন। তবে তারা কোনও তথ্য বা বক্তব্য দেননি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনা আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে ভাইরাসটির উৎস, গতি প্রকৃতি ও বিস্তার রোধে উপায় নিয়ে গবেষণা করছে বিসিএসআইআর। ৩০৪ টি এসএআরএস- কোভিড-২ ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং ডাটা জিআইএসএআইডি’এ জমা দেয়া হয়েছে।
এই গবেষণায় সহায়তা করেছেন ড. সমীর উজ্জামান সমীর, সিনিয়র কনসালটেন্ট, সাইটেক কনসালটিং এন্ড সল্যুশন লিমিটেড যুক্তরাজ্য ও ইশরার ওসমান, সিনিয়র কনসালটেন্ট সাইটেক কনসালটিং অ্যান্ড সল্যুশন লিমিটেড অস্ট্রেলিয়া। এই গবেষণায় নমুনা সরবরাহ করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর একেএম সামসুজ্জামান ও তার গবেষক দল।
Discussion about this post