অনলাইন ডেস্ক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহায় ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাবার মতো কঠিন কাজ বাস্তবায়নে নিজের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিত্যাগ করে কাজ করে গেছেন। মৃত্যুকে সামনে দেখেও তিনি লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। জাতির পিতার থেকে পাওয়া সে শিক্ষাকে পুঁজি করেই অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছি।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিভিন্ন উপকারভোগীদের ভাতা মোবাইলফোনে পৌঁছে দেওয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যখন সমগ্র বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার যখন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তখন তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমি মানুষের সমর্থন নিয়ে দেশে ফিরে আসি। বাবার মতো দুস্থ মানুষের কষ্ট দেখতে সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়েছি। মাইলের পর মাইল হেঁটে তাদের কষ্ট দেখেছি। তখন আমরা দলের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে থেকেছি।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ ও স্বামী পরিত্যাক্তা মানুষদের সহায়তায় কাজ শুরু করি। পরবর্তী সময়ে প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি। পরবর্তী সময়ে গৃহহীণ মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার কাজ করি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে। বস্তিবাসীদের উন্নয়নেও আমরা কাজ করেছি।
প্রধামন্ত্রী বলেন, আমি দেশের মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করবো। আমার দল ও আমি মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করে যেতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে কেউ ঘর ছাড়া থাকবে না এবং কারও ঘর অন্ধকার থাকবে না। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছি। এছাড়া বিশেষ এই ক্ষণে দেশে এক কোটির বেশি গাছ লাগানোর কাজ চলছে। এসময় অসহায় ও গৃহহীনদের সহায়তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রী মোবাইলের মাধ্যমে ভাতাভোগীদের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার ভাতাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
Discussion about this post