নিউজ ডেস্ক
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে পর্যায়ক্রমে দেশের প্রায় নয় লাখ ভূমি ও গৃহহীন অসহায় পরিবার বসবাসের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাচ্ছেন পাকা ঘর।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। ঘর এবং জমি নেই এমন পরিবারের সংখ্যা দুই লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১ জন।
অপরদিকে জমি আছে, ঘর নেই এমন পরিবারের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ২৬১টি। সর্বমোট আট লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারকে পর্যায়ক্রমে বাসস্থান নির্মাণ করে দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। দুই শতক জমির ওপরে নির্মিত প্রতিটা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের সঙ্গে একটি রান্নাঘর, একটি সংযুক্ত টয়লেট ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়েছে। ভূমিহীন যারা রয়েছে তাদের দুই শতক ঘরের জমির মালিকানাও দেওয়া হবে।
প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীন বিধবা, অসহায়, বয়স্ক, দুস্থ এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রায় ৬৬ হাজার পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ ঘরগুলো উপকারভোগীদের দেওয়া হবে। চলতি মাসের কোনো এক সময় এ ঘরগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি ও গৃহহীন দুস্থ মানুষদের মধ্যে বিতরণ করবেন।
সরকারের পাশাপাশি গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, রাজনীতিবিদ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা এবং বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ। সারাদেশের বিভিন্নস্থানে জনপ্রতিনিধিরা দুই হাজার ৮৯৬টি, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি উদ্যোগে ৯৯টি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি উদ্যোগে ৬০৫টি, বিসিএস অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশন ১১টি, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ১০০টি, সরকারের ৮০ জন সচিব ১৬০টি, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা দুই হাজার ৮৬৮টি করে মোট সাড়ে ছয় হাজার গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৬৬ হাজার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মাসেই ঘর বুঝিয়ে দেবেন। মুজিববর্ষে একবছরের মধ্যে আরও এক লাখ ঘর নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। পর্যায়ক্রমে সরকারের পক্ষ থেকে নয় লাখ পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ঘর দেওয়ার পাশাপাশি এসব ভূমিহীন-গৃহহীন বিধবা, অসহায়, বয়স্ক, দুস্থ এবং প্রতিবন্ধী মানুষদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষ থেকে আয় বর্ধক নানা কর্মসূচিও গ্রহণ করা হবে বলে জানান প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা।
Discussion about this post