ভারত থেকে সরকারিভাবে কেনা ৫০ লাখ ভ্যাকসিন সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দেশে আসছে। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের বিষয়ে চুক্তি হয়। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি দেশে আসে ভারত সরকারের উপহার দেওয়া ২০ লাখ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। সেরাম থেকে অক্সফোর্ড-অ্যস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড নামের এই ভ্যাকসিন দেশে সরবরাহ করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাতৃ, নবজাতক ও শিশুস্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভ্যাকসিন আসার পর সেটা গাজীপুরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস-এর ওয়্যারহাউজে রাখা হবে।’
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশে এই টিকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে থাকবে দুই দিন। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশন হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয়ভাবে টিকা দেওয়া শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, শুরুতে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন ২৫ লাখ মানুষকে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রথম দফায় করোনার টিকা দেওয়া হবে ৫০ লাখ মানুষকে।
জানা গেছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরিকল্পনা অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও ৩৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী যারা ১৮ বছরের কম বয়সী, তাদেরও টিকা দেওয়া হবে না। কারণ, তাদের কোনও ট্রায়াল হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী, দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আলাদা টিম গঠন করা হচ্ছে। এছাড়া, কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
টিকা ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
Discussion about this post