নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ৭৩৫টি কেন্দ্রে এরই মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, সার্বিক প্রস্তুতি মোটামুটি সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর প্রত্যাশা, আগামীকাল সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি থাকবে।
এ ছাড়া ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোট ১৪ হাজার সদস্য কাজ করছেন। গতকাল সোমবার বিকেল থেকে মাঠে নেমেছে বিজিবি।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় প্রায় ১৪ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে নয় হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া গতকাল সোমবার বিকেল থেকে মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তারা নগরীতে টহল দিচ্ছে।
এদিকে, ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, এপিবিএনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে তিনটি ওয়ার্ড মিলে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে। এ ছাড়া একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্সও থাকবে। দুটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুনে ১০ জন করে বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছে। প্রতি প্লাটুনে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এ ছাড়া নৌপুলিশও দায়িত্বে থাকবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী লড়াই করছেন। ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড ও ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাকলিয়ার একটি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আলকরণ ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে স্থগিত করা হয় নির্বাচন।
এ ছাড়া সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ ২২৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল। সে হিসাবে ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৯ মার্চ এই সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
পরে ২৭ জানুয়ারি নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য দিন দেয় ইসি।
Discussion about this post