নিউজ ডেস্ক
প্রথম চিকিৎসক হিসেবে চট্টগ্রামের সন্তান ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী মারুফ নিতে যাচ্ছেন করোনাভাইরাসের টিকা। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশন বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার।
ডা. ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী মারুফের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর ছোট ভাই।
২৮ জানুয়ারি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) শুরু হতে যাচ্ছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম। এদিন ঢামেকের মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশন বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার ডা. ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী এই হাসপাতালের প্রথম কোনো চিকিৎসক হিসেবে ভ্যাকসিন নেবেন।
ডা. মারুফ বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভ্যাকসিন প্রয়োগের যে তালিকা, তাতে এখন পর্যন্ত আমার নামই প্রথমে আছে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমি ভ্যাকসিন নেব। সবার আগে নেব— এমন ভাবনা থেকে নয়, বরং একজন চিকিৎসক হিসেবে দেশের মানুষের মন থেকে ভয় দূর করার জন্য হলেও ভ্যাকসিন নেব।’
বাংলাদেশে দেওয়া হবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। আট সপ্তাহের ব্যবধানে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে সবাইকে।
সরকার সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে যে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে, তার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ সোমবার দেশে পৌঁছেছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর প্রথম চালানের টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতিও দিয়েছে। এছাড়া সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে যেহেতু এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির উপর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
Discussion about this post