নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রামে ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্যোগে এ ক্যান্সার হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি)।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. রেজাউল করিম আজাদ।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. রেজাউল করিম আজাদ বলেন, মরণব্যাধি ক্যান্সার সারা দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শিশু কিশোর, যুবক-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সব বয়সের মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। চট্টগ্রামে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে ক্যান্সারের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এ কারণে এখানকার ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঢাকার ওপর নির্ভর করতে হয়।
তিনি বলেন, কিন্তু অধিকাংশ রোগীর পক্ষেই ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগী অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষের কারণে যথা সময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার রোগীও ভালো হচ্ছে। তারা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন। বিষয়টি অনুধাবন করে আমরা ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি।
মো. রেজাউল করিম আজাদ জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা চলছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিভাগের জনসংখ্যার তুলনায় বর্তমানে বিদ্যমান সেবা ব্যবস্থা বড়ই অপ্রতুল। বর্তমানে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৩০ জন এবং অন্তঃবিভাগে ভর্তি হচ্ছে ১০ শয্যায় ১০ জন। অথচ প্রতিদিনই শয্যার অভাবে ভর্তি করা যাচ্ছে না অনেক রোগীকে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগে কেমোথেরাপি গ্রহণ করেছে ৪ হাজার ১৪২ জন রোগী এবং অন্তঃ ও বহির্বিভাগে মোট ৬ হাজার ৭৭৬ জন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন। তাই বর্তমানে ক্যান্সার রোগীর বৃদ্ধির হারের বাস্তবতায় চট্টগ্রামে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যান্সার হাসপাতাল অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় প্রধান নিয়ামক হলো অর্থ। আমরা মনে করি, চট্টগ্রাম নগরে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিটি মানুষ যদি ১০০ টাকা করে এই ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য দান করেন, তাহলে এক মুহূর্তেই এ হাসপাতালের জন্য ৭০ কোটি টাকার একটি তহবিল হয়ে যাবে। এমনটি প্রত্যাশা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
Discussion about this post