অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাস আর প্রাণঘাতী রোগ থাকছে না। এটি পরিণত হবে মৌসুমি ফ্লুর মতো সাধারণ ঠান্ডা রোগে। এতে মৃত্যুর হার ০.১ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। ফলে টিকার চাহিদাও কমে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন আশার বাণী শুনিয়েছেন বলে জানায় লাইভসায়েন্স। তারা বলেছেন, যত বেশি শিশু করোনায় আক্রান্ত হবে, দীর্ঘমেয়াদে তা ততই ভালো। কারণ, প্রাকৃতিকভাবেই এক ধরনের সুরক্ষা পায় শিশুরা। ফলে ভবিষ্যতে তাদের জটিল রোগ থেকে সুরক্ষা মিলতে পারে। তবে এর মানে এই নয় যে তারা আবার আক্রান্ত হবে না। প্রতিবছরই মানুষ যেভাবে সাধারণ ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়, তাদের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটতে পারে।
গবেষকদের একজন অটর জর্নস্ট্যাড বলেছেন, যত বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছেন, মৃত্যুহারও ততই কমছে। ততই কমবে টিকার চাহিদা। আরেক গবেষক জেনি ল্যাভাইন বলেছেন, এক বছরের মধ্যে করোনার পুনঃসংক্রমণ ঘটার আশঙ্কা থাকে। তবে তখন উপসর্গ হয় মৃদু এবং দ্রুত সেরে ওঠে। গবেষকরা বলছেন, আগামী বছর অথবা তার পরেও হয়তো টিকাদান চালিয়ে যেতে হবে। এভাবেই আসবে হার্ড ইমিউনিটি।
এদিকে সারাবিশ্বে করোনার সংক্রমণ কমে আসছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষে বিশ্বে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তখন দৈনিক প্রায় সাড়ে আট লাখ লোকও আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ চার লাখে নেমেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, সংক্রমণ কমার এই হার উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি বলেছেন, করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হলেও এটা যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেটিই প্রমাণ হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিষয়ে প্রমাণিত পদক্ষেপ নিলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কার্যকর টিকা আবিস্কার হওয়ায় বহুল প্রত্যাশিত আশার সঞ্চায় হয়েছিল। টিকা নিয়ে সেই আশা যেন সবার হয়, শুধু মুষ্টিমেয় কিছু লোকের না হয়। এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
Discussion about this post