নিউজ ডেস্ক
সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্থপতি শাকুর মজিদ ভবনের নকশা তৈরি করেছেন। এছাড়াও ভবন নির্মাণের অন্যান্য কাজের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব দ্রুত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের কাজ শুরু হবে।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সিটি সুপার মার্কেটের জায়গায় এই কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। এখানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা থাকবে। দৃষ্টিনন্দন নাগরিক চত্বর রাখা হবে। যেখানে নগরবাসীর জন্য থাকবে বিনোদন, কেনাকাটাসহ বিভিন্ন সুবিধা। থাকবে উন্মুক্ত উদ্যানও। এছাড়া কমপ্লেক্সের মধ্যে থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’।
যেখানে ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতীকী উপস্থাপনা থাকবেএছাড়াও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তর্জনি উঁচিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার তেমন একটি ভাস্কর্য থাকবে। থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু প্লাজা’ নামে বহুতল বিপণী বিতান।
যেখানে সিনেপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম, এক হাজার আসনের কনভেনশন হল, মুক্তিযুদ্ধের দালিলিক স্মারক সংগ্রহশালা রাখা হবে। কমপ্লেক্সে থাকবে খোলা পার্ক, বইমেলা বা কুটিরশিল্প মেলা করার জন্য ৩৪২টি স্টল বসানোর সুবিধা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে উন্মুক্ত মঞ্চ। ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে’র ল্যাম্প পোস্টগুলো হবে সিলেটের ঐতিহ্য দুটি পাতা-একটি কুঁড়ির আদলে। পাশাপাশি হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ৬ তলাবিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করা হবে।
দিকে, প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা হতে বন্দরবাজার সড়ক সম্প্রসারণ, রোড ডিভাইডার, ফুটপাত নির্মাণ ও সড়কবাতি স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের আওতায় ৮৬০ মিটার সড়ক উন্নয়ন, সড়কের উভয় পাশে ফুটপাতসহ ১৬৮ মিটার ড্রেন নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন কাঠামোসহ ১০৬০ মিটার রোড ডিভাইডার স্থাপন, ৬২টি সড়কবাতি ও ৩০টি বৈদ্যুতিক পোল স্থাপন করা হচ্ছে।সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকছে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে।
১৫ একর জায়গার উপর কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হবে। এতে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে নগরবাসীর বিনোদনের জায়গাও থাকছে। সেই সঙ্গে থাকছে কমপ্লেক্স। এছাড়াও কমপ্লেক্সের ল্যাম্প পোস্টগুলো হবে সিলেটের ঐতিহ্য দুটি পাতা-একটি কুঁড়ির আদলে। ইতোমধ্যে নকশা আমাদের হাতে এসেছে।
Discussion about this post