নিউজ ডেস্ক
সারা দেশে আগামীকাল রোববার থেকে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা দিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে সব জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। সংশ্লিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এজন্য অনেক এলাকায় আজও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।
গত সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচশর বেশি লোককে এই টিকা প্রয়োগের ১০ দিন পর রোববার সকাল ৯টা থেকে সারাদেশে একযোগে এই টিকা দেওয়া শুরু হবে।
এদিকে, এরই মধ্যে যাঁরা নিবন্ধন করেছেন তাঁদের মধ্য থেকে আগামীকাল প্রথম দিনে যাঁরা টিকা পাবেন তাঁদের মোবাইল ফোনে আজ শনিবার খুদেবার্তার মাধ্যমে সেটি জানিয়ে দেওয়া হবে অধিদপ্তর থেকে।
সরকারের হাতে এখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ৭০ লাখ টিকা আছে। এর মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কেনা ৫০ লাখ এবং ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া ২০ লাখ।
সরকারের লক্ষ্য ছিল প্রতিদিন গড়ে দুই লাখ ৬০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া। তবে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯ দিনে মাত্র দেড় লাখ মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রথম মাসে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্তের পরিবর্তে ৩৫ লাখ লোককে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে শনিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জানানো তথ্য মতে, এ পর্যন্ত তিন লাখ ছাড়িয়েছে নিবন্ধনকারী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, নিবন্ধন না করা ব্যক্তিরাও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকলে টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
বর্তমানে শুধু ৫৫ বছরের বেশি বয়সী এবং মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত প্রথম সারির পেশাদারদের কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচির প্রথম পর্বে নিবন্ধন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
করোনার টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে স্থানীয় মানুষের মধ্যে টিকাদানের উৎসাহ বাড়াতে জনপ্রতিনিধি, বিশেষ করে সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন নিজ নিজ এলাকায়। সংসদ সদস্যদের বেশির ভাগই যাঁর যাঁর নির্বাচনী এলাকায় আগামীকাল টিকা নেবেন বলেও প্রস্তুতি রয়েছে। অনেক এলাকায় মন্ত্রীরাও থাকবেন বলে জানা গেছে।
Discussion about this post