নিউজ ডেস্ক
স্বাধীনতা দিবসে (২৬ মার্চ, ২০২১) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার (বিআইসিসি) বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর উদ্ধোধন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও ভারতে বাপু বা মহাত্মা গান্ধী, উভয়ের ওপর গবেষণা করে এই জাদুঘরটি করা হয়েছে। উদ্বোধনের প্রথম ১০ দিন এটি বিআইসিসি এবং পরবর্তী ২০ দিন শিল্পকলা একাডেমিতে এই জাদুঘর সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ বড় আকারে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সরকার। এরমধ্যে অন্তত তিনটি দেশের তিন জন সরকার প্রধান ওই ১০ দিনের বিভিন্ন সময়ে ঢাকা অবস্থান করবেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের ভিডিও বার্তা দেখানো হবে ওই সময়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা থাকলেও কোভিড পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছু করা সম্ভব হয়নি। এই বছর কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ বড় আকারে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার অগ্রসর হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সব রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বাংলাদেশ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধু বা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল লেকচার দিবেন।
ভিডিও বার্তা কারা দিতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভূটানের রাজা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি পরিবারের কোনও সদস্য এবং অন্য অনেক দেশ থেকে ভিডিও বার্তা আসবে বলে আশা করছি।
কী হবে ১০ দিনে
আরেক কর্মকর্তা জানান, মুজিব চিরন্তনের ১০ দিন অনুষ্ঠানের প্রতিটি দিনের জন্য একটি থিম ঠিক করা হবে। অনুষ্ঠান শুরু হবে ১৭ মার্চ তেজগাঁও প্যারেড গ্রাউন্ডে এবং প্রতিদিন থিম গান দিয়ে প্রোগ্রাম শুরু হবে। এরপর দেশী ও বিদেশি আলোচকরা থিম নিয়ে আলোচনা করবেন। সর্বশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে দিনের অনুষ্ঠান শেষ হবে। অনুষ্ঠানে কোনও দর্শক থাকবে না এবং অনুষ্ঠানটি টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
বিদেশি মিশন
বিদেশে অবস্থিত প্রতিটি মিশনকে কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৭, ২৫ ও ২৬ মার্চ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতি বছর ওই দিনগুলোতে মিশনগুলো অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে তবে এবছর বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ কোনও আয়োজন করা সম্ভব হলে সেটি করতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, অনেক জায়গায় কোভিড পরিস্থিতির কারণে সম্ভব না হলে পরবর্তীতে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে।
ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং যেখানে এটি সম্ভব সেখানে এটি করা হবে।
আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন
এ বছরের শেষে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের বিষয়ে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একজন কর্মকর্তা বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময়ে শান্তির পক্ষে কাজ করেছেন এবং সেটিকে মাথায় রেখে এই শান্তি সম্মেলনের আয়োজন বড় আকারে করা হবে।
Discussion about this post