নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। তার ছেলে খন্দকার সাঈদ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে সেখান থেকে তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়।সেগুনবাগিচার কচিকাঁচায় তার মরদেহ বেলা ১১টায় নেওয়া হবে। বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজা হবে। তাকে তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জে দাফন করা হবে।
এর আগে ইব্রাহিম খালেদের ভাই মোহাম্মদ খালেদ জানিয়েছিলেন গত মঙ্গলবার থেকে তার অবস্থা খুবই জটিল।
মোহাম্মদ খালেদ বলেন, তার ভাই ইব্রাহিম খালেদ করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং নিউমোনিয়া হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার ফুসফুসে ৫০ শতাংশ সংক্রমণ হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তিনি একটু সুস্থবোধ করছিলেন। তারপর তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। এরপর তার প্রেশার নেমে যাওয়ায় আইসিইউতে আবার নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৪১ সালের ৪ জুলাই গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
ইব্রাহিম খালেদ ১৯৬৩ সাল থেকে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯৪ -১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ১৯৯৬ সালে অগ্রণী ব্যাংক এবং ১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮-২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। ২০০০-২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
তিনি ৯ ডিসেম্বর ২০২০ সাল থেকে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পুঁজিবাজারে ধসের কারণ অনুসন্ধানে করা তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েও আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
ব্যাংকিং ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে ২০০৯ সালে ‘খান বাহাদুর আহছানউল্লা স্বর্ণপদক’ ও ২০১৩ সালে ‘খান বাহাদুর নওয়াব আলী চৌধুরী’ জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০০০ সাল থেকে তিনি কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার পরিচালক, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
Discussion about this post