নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই। তবে তার আগে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী যাদের বয়স হয়েছে-এমন শিক্ষার্থীদেরও করোনার টিকা দিতে চাই।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণভবনে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টিকার খোঁজে ছিলাম। টিকা উৎপাদনই হয়নি-এমন পরিস্থিতিতে বুকে সাহস রেখে আমরা অগ্রিম টাকা দিয়েছি। আমার কাছে আমার দেশের মানুষের নিরাপত্তা সবচেয়ে আগে। আর এ কারণেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবকিছুই আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরিস্থিতি যখন ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে, তখন অনেক কিছুই আমরা স্বাভাবিক করে দিয়েছি।
সরকার প্রধান বলেন, উচ্চ শিক্ষাস্তরে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। নিম্নস্তরেও আমরা শিক্ষকদের টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে চাচ্ছি। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বয়সের নিয়ম অনুযায়ী অন্যদের টিকা দেবে। আমরা আরও টিকার অর্ডার দিয়েছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই। এ কারণে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।
গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
Discussion about this post