ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠি জালিয়াতি (টেম্পারিং) ও শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগের বিষয়টি গোপন রেখে বিধি বর্হিভূতভাবে নিয়োগ পাওয়া আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাসার বাদশা হাওলাদারকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) গভর্নিং বডির সভায় অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন। ‘জালিয়াত’ অধ্যক্ষকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তে বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই সাথে কলেজের সহকারী অধ্যাপক সমীর কুমার সাহাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আর বরখাস্ত অধ্যক্ষ আবুল বাসার বাদশা হাওলাদারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে কলেজের সব কাগজপত্র, দলিল, হিসাব-নিকাশ, সম্পদ, তালা-চাবি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বুঝিয়ে দিতে বলেছে কলেজের গভর্নিং বডি।
জানা গেছে, বিধি অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠি, নিজের অর্নাসের সনদ টেম্পারিং ও তথ্য গোপন করে সুকৌশলে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ মে তারিখ অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান আবুল বাসার বাদশা হাওলাদার। নিয়োগের পর থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু জাকির হোসেন গোলদার নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর সনদ জালিয়াতির একটি লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাধিক তদন্তে অধ্যক্ষের জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক ড. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে অধ্যক্ষ আবুল বাসার বাদশা হাওলাদাররের নিয়োগ বাতিল করতে লিখিতভাবে বলা হয় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে। চিঠিতে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছিল।
কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সমীর কুমার সাহা জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কলেজ গভর্নিং বডি অধ্যক্ষ আবুল বাসার বাদশার নিয়োগ বাতিল করে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেছেন। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
Discussion about this post