নিউজ ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ৪৬২ জন।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৫১১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪১ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৪৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২১টি, জিন এক্সপার্ট ৩৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৮৮টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩১ হাজার ৮৭৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ হাজার ৬৫৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪১২টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬৩ জনের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ, ২০ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে চারজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, রাজশাহী বিভাগে দুইজন। এছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ৬৩ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন।
এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭১০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৬৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ নয় হাজার ৯১১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৫ হাজার ১০২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ৮০৯ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনায় সাত হাজার ৬২৬ জন শনাক্ত হয়। যা দেশে করোনায় একদিনে শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
Discussion about this post