নিজস্ব প্রতিবেদক
বহু প্রত্যাশিত ‘শিক্ষা আইন ২০২১‘র খসড়া চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এ আইনে নোট-গাইড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, শর্তসাপেক্ষে ‘সহায়ক বই’কে বৈধতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের কোচিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধন নিয়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে গড়ে ওঠা কোচিং সেন্টার চালানো যাবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা ইংরেজিসহ ভাষাশিক্ষার সেন্টারকেও নিবন্ধন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আইনটি মন্ত্রিপরিষদে পাঠানোর আগে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মত চাওয়া হয়। তাদের দেওয়া মতামতের ওপর আলোচনা করতে আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। সভায় ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে মতামত চাওয়া হলে ৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোচিং-নোট গাইডের বৈধতার প্রস্তাবে আপত্তি তুলেছে। তারা শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট নিষিদ্ধ করে অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাবে বেঁকে বসেছেন। এক্ষেত্রে জনপ্রশাসন, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাইভেট নিষিদ্ধ করে অতিরিক্ত ক্লাসের প্রস্তাব করে শিক্ষকদের বাড়তি শ্রমের জন্য বিশেষ ভাতা (শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে) চালুর মত দিয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম ডিগ্রি পাস করার প্রস্তাব করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এভাবে ছয়টি মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের বিভিন্ন ধারা-উপ-ধারার ওপর মতামত দিয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নেতৃত্বে আরেকটি সভা করে আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।
Discussion about this post