জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় হাইস্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অনলাইনে পরীক্ষা নিতে গবেষণা চলছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত দুই পৃথক কমিটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কীভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হয় সে বিষয়ে ধারণা পেতে কাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিভিন্ন পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সক্ষমতা যাচাই করার কমিটি আগামী ২৫ এপ্রিল সভা ডেকেছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, লকডাউনের কারণে বৈঠক ডেকেও বসা সম্ভব হয়নি। আগামী ২৫ এপ্রিল প্রথম সভা ডাকা হয়েছে। কমিটির প্রয়োজনে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজনকে নতুন করে কো-অপ্ট (যোগ) করেছি।
তিনি আরও বলেন, দেশ-বিদেশে কীভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা কতটুকু সম্ভব, বিশেষজ্ঞদের তার একটি প্রতিবেদন নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তাদের সুপারিশের আলোকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।
অন্য দিকে গত ৮ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনে গঠিত সুপারিশ কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদের নেতৃত্বে প্রথম সভা হয়েছে।
সভায় অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষার নেওয়ার সম্ভ্যবতা যাচাই এবং অন্যান্য দেশের পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি ও ফলাফল কি তার একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে টেকনিক্যাল কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটির সদস্য ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ৮ এপ্রিল প্রথম বৈঠকে কমিটির সদস্যরা অনলাইন পরীক্ষার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিদেশে অনলাইনে বিভিন্ন পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হয় এবং বাংলাদেশে নিলে কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে তা যাচাই-বাছাই করে একটি প্রতিবেদন দেবে কমিটি। প্রতিবেদনের ভালো ও খারাপ দিকগুলো দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিগগিরই দ্বিতীয় বৈঠক ডাকা হবে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post