নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিক শিক্ষকদের অভিন্ন পরিচয়পত্রের (আইডি কার্ড) বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচয়পত্র তৈরি করতে স্লিপ ফান্ড এবং অফিসের আনুষঙ্গিক খাত থেকে খরচ করার কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অধীনস্থ কর্মচারীদের পরিচয়পত্র সংক্রান্ত এক আদেশে স্বাক্ষর করেন পরিচালক (প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান। আদেশে ৮টি নতুন নির্দেশনা সংযোজন করা হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ওয়েবসাইটের প্রদত্ত নমুনা অনুসারে পরিচয়পত্র প্রস্তুত করতে হবে। ফলে সারাদেশে অভিন্ন আকারে আইডি হবে।
২. প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের পরিচয়পত্র ইস্যু করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসার।
৩. অফিস প্রধানরা তার অফিসে কর্মরত সবার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তার অধঃস্তন অফিস প্রধানদের পরিচয়পত্র দেবেন।
৪. দাফতরিক পরিচয়পত্র ইস্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা পরিচয়পত্রের নমুনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে ই-প্রাইমারি স্কুল সিস্টেম থেকে সংগ্রহ করে তার আওতাধীন সবাইকে জানাবেন।
৫. কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য ও ছবি-নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে দাখিল করবেন।
৬. নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা এনআইডি এবং শিক্ষক পিন নম্বর সংযোজিত পরিচয় পত্রে স্বাক্ষর করে ব্যবহারকারীকে দেবেন।
৭. শিক্ষকরা পরিচয়পত্র সংরক্ষণ ও ব্যবহার করবেন। কর্মস্থল বাসস্থানের বাইরে দৈনন্দিন কাজে সার্বক্ষণিক পরিচয়পত্র নিয়ে চলাচল করবেন।
৮. পরিচয়পত্র তৈরিতে স্থানীয়ভাবে কালার প্রিন্ট ও লেমিনেশন করতে হবে। বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে স্লিপ ফান্ড এবং অফিস আনুষঙ্গিক খাত থেকে খরচ করা যেতে পারে।
Discussion about this post