নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার চট্টগ্রামের ৯৯ হাজার ৯৭৭ জন পরিবার ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন। এর মধ্যে রোববার (২ মে) ২২ হাজার পরিবার ঈদ উপহার পেয়েছেন।
রোববার করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে চট্টগ্রাম, জয়পুরহাট ও ভোলা জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রাম জেলার এ প্রান্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ১০ জন উপকারভোগী উপস্থিত থেকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুবিধার কথা জানান প্রধানমন্ত্রীকে।
এ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক-ব্যবসায়িক নেতা প্রমুখ।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে সাম্প্রতিক লকডাউনে সাময়িক কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যেমন পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাভ্যান চালক, নির্মাণশ্রমিক, চর্মকার, নরসুন্দর, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী ও বস্তিবাসী নিম্নআয়ের ২৬ হাজার ৮০০ পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, চিনি, আলু, লবণ, সাবান ইত্যাদি বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের সংসদ সদস্যগণ, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দও ত্রাণ কাজে সমানভাবে অংশগ্রহণ করছেন। নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত যে সব পরিবার প্রকাশ্যে ত্রাণ চাইতে কুণ্ঠাবোধ করেন তারা জেলা প্রশাসনে এসএমএস বা ফোন করলে রাতের বেলায় বাড়ি গিয়ে এসব উপহার সামগ্রী/খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছেন জেলা প্রশাসন টিম।
লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং জনগণের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছে । কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ কাজের জন্য জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
Discussion about this post