আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাসরোধী টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার বিষয়ে অবস্থান বদলাল যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে সায় দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এটিকে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও একটি ‘স্মরণীয় মুহূর্ত’ বলে মনে করছেন অনেকে।
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় টিকাসহ জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামগুলোর মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়ে গত অক্টোবরে ডব্লিউটিও‘তে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ পর্যন্ত তাদের ওই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ১০০টিরও বেশি দেশ।
মেধাসম্পদ উন্মুক্ত হলে বিশ্বজুড়ে টিকার উৎপাদন বাড়বে এবং দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তির পথ আরও সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু মেধাসম্পদ উন্মুক্তের প্রস্তাবে তীব্র বিরোধিতা করে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের সঙ্গে একমত জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যের মতো অন্য ধনী রাষ্ট্রগুলো।
তবে নির্বাচনের আগে থেকেই করোনা টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার কথা বলে আসছিলেন জো বাইডেন। ক্ষমতালাভের পরে সেই অবস্থান বদলাননি তিনি। বুধবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় প্রস্তাবটির পক্ষে সায় দিয়েছে তার প্রশাসন।
বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস। তিনি এটিকে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে একটি ‘স্মরণীয় মুহূর্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তবে টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১৬০ সদস্য দেশের ঐকমত্যে পৌঁছাতে আরও অনেক সময় লাগতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্য-জাপানের মতো যেসব দেশ টিকার মেধাসম্পদ উন্মুক্ত করার প্রস্তাবে এখনো বিরোধিতা করছে, তাদের দ্রুত মত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
Discussion about this post