জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা আপাতত বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে নকশারও পরিবর্তন করা হতে পারে। আমি নিজে সরেজমিন পরিদর্শন করবো এবং পরিবেশবিদদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। এছাড়া এ বিষয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (১১ মে) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৫০টি গাছ কাটা হয়েছে। আরও ৫০টি গাছ কাটা হতে পারে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সরেজমিন পরিদর্শন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা না বলে আপাতত কোনও গাছ কাটবো না বলে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি শুধু ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য গাছ কাটা হয়ে থাকে তাহলে সে ঘটনা দুঃখজনক। এমনটি ঘটে কার পরামর্শেতা হয়েছে তাকে খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি নিজে জায়গাটি ভিজিট করি নাই, যা আমার করা উচিত ছিল। এজন্য আমি দুঃখিত। এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে আমি ভাবিনি। আশা করি আমার এই সংবাদ সম্মেলনের পর গাছ কাটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।’
তিনি আরও বলেন, গাছ কাটার আইন অত্যন্ত কঠোর। সেইটি অনুসরণ করেই গাছ কাটা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এখানে ১৯টি টয়লেট, একটি মসজিদ ও কয়েকটি ফুড কর্নার করা হবে। সেখানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে না। দাঁড়িয়ে খেতে হবে। যেটি নির্মিত হচ্ছে সেটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের দলিল। শুধু ‘৭১ না ৪৮-৭১ এই ২৩ বছরের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের যে সংগ্রাম সেটি জানা যাবে এই জায়গা পরিদর্শন করলে। আমরা সেই আদলেই এটি গড়ে তুলছি। আমাদের উচিত ছিল প্রতল্প সম্পর্কে জনগণকে আগে থেকেই ধারণা দেওয়া। সেটি আমরা পারিনি। সেটা আমাদের ব্যর্থতা। বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে সরকারের খরচে প্রতিদিন ২ হাজার শিশুর এখানে পরিদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া দৈনিক ৫০ হাজার দর্শনার্থী এখানে আসতে পারবেন।
Discussion about this post