শিক্ষার আলো ডেস্ক
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হেনস্তার ঘটনায় নিজের ফেসবুক পেজে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন । মঙ্গলবার (১৮ মে) ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন তিনি। হানিফ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
মাহবুব-উল আলম হানিফ তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নয় বরং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। হানিফের ব্যক্তিগত সহকারী তারিকুল ইসলাম টুটুল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এদিকে হানিফের স্ট্যাটাসে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মী এবং সাধারণ মানুষ।
এর আগে সোমবার (১৭ মে) পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় আনা হয়।
রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী এ মামলা দায়ের করেন। সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়ের করা তথ্য পাচার মামলায় রোজিনা ইসলামকে আজ সকাল আটটার দিকে সিএমএম আদালতে নিয়ে আসা হয়। সকাল ১১টা ৫ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন। রোজিনা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হলে তার আইনজীবী এহসানুল হক সামাজী রিমান্ডের আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন চান।
চিফ জুডিশিয়াল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের রিমান্ড নাকচ করেন এবং আগামী বৃহস্পতিবার (২০ মে) জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন। এই দুই দিন তাকে কারাগারেই থাকতে হবে। বিচারকের আদেশ পাওয়ার পর সিএমএম আদালতের গারদখানায় রাখা হয় তাকে। সর্বশেষ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে।
Discussion about this post