জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে সরকার। আর রবিবার (২৩ মে) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের গণপরিবহন চলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধ চলাকালীন সময়ে আন্ত:জেলাসহ সব গণপরিবহণ অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে যাত্রীসহ সবাইতে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
এছাড়া প্রজ্ঞাপনে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানগুলোতে আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদান করতে পারবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার (২৩ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হয়।
নির্দেশনা:
১. আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
২. হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক গ্রাহককে বসিয়ে খাবার খাওয়াতে পারবে।
এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সব সিনিয়র সচিব/সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা ‘লকডাউন’ হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূর পাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদেও লঞ্চ-ট্রেন এবং দূর পাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এর আগে গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দফা বন্ধ রাখা হয়। আর ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন অফিস বন্ধ থাকে।
Discussion about this post