নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ রোববার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হই। এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে, তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে স্কুল-কলেজ খুলে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।
২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না, ভুল পথে যাবেন না। নিজেরা নিজেদের বাড়িতে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন, মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য কাজ করুন, ভয়ের কোনো কারণ নেই, পরীক্ষা দিতে হবে কিনা সেটি পরের কথা। নিজেদের যতটুকু শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত রাখা সম্ভব ততটুকু করুন, নিজে সুস্থ থাকুন। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা সুস্থ থাকুক।
ডা. দীপু মনি বলেন, আপনারা জানেন ১৩ জুন থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা আমাদের ছিল। সে বিষয়ের প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের ২০টি জেলা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। প্রায় ১০টি জেলার বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন চলছে। এখন নতুন করে যে ভ্যারিয়েন্টগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
এই পরিস্থিতিতে আমরা বাধ্য হয়েছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়াতে। এরপরও পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটার ওপর নজর রেখে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমরা যখনই খুলি না কেন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমরা অনলাইনে শিক্ষা দিয়ে শতকরা ৮০/৮৫ ভাগের বেশি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। যার ফলে অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবস্থা চালু করে আমরা ৯৩ ভাগ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের এই চেষ্টাগুলো অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষভাবে যারা এবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা, উদ্বেগটা আসলে তাদেরই বেশি। আমরা ভেবেছিলাম তাদের ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নিতে পারব। এখন সেটি যদি না হয়, তাহলে তার বিকল্প চিন্তা করছি।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা বাড়িতে যতটুকু সম্ভব তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাক। উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না, যাতে তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের যে ক্ষতিটা তা শিক্ষা ব্যবস্থার। সামগ্রিক বিশ্বে এই ক্ষতিটা হচ্ছে। এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যাবে সেই ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এখন আমরা পরীক্ষা নিতে পারব কিনা, পরীক্ষা নিতে না পারলে বিকল্প কি ব্যবস্থা হবে, সবকিছু নিয়ে আমাদের চিন্তা ভাবনা রয়েছে। একেবারে প্রস্তুতির দিকেই আমরা যাচ্ছি।
Discussion about this post