শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি ব্যবহারে জনসনের টিকার অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এটি হলো দেশে অনুমোদন পাওয়া ষষ্ঠ ভ্যাকসিন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘বেলজিয়াম অবস্থিত জনসন-সিলাগ আন্তর্জাতিক কর্তৃক উৎপাদিত করোনা ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) কর্তৃক ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ভ্যাকসিনটি ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ণ করে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সির ক্ষেত্রে ওষুধ, ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ, ভ্যাক্সিন এবং মেডিকেল ডিভাইস মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর প্রদান করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটির স্থানীয় এজেন্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসি অ্যান্ড এএইচ শাখা। ভ্যাকসিনটি গত ১২ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন অর্জন করেছে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারিতে ইউএস-এফডিএ কর্তৃক অনুমোদন পেয়েছে। ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর এবং তদুর্ধ বয়সের ব্যক্তির জন্য ব্যবহারযোগ্য। ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশ সরকারের ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রদান করা হবে।’
ভ্যাকসিনটি এক ডোজই কার্যকর এবং এর সংরক্ষণ তাপমাত্রা দুই থেকে আট ডিগ্রী সেলসিয়াস বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
Discussion about this post