অনলাইন ডেস্ক
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৩ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (২০ জুন) সকাল ৯টা থেকে সোমবার (২১ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে তারা মারা যান।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৩ জন মারা গেছেন।
এদের মধ্যে ছয়জন করোনায়, ছয়জন করোনার উপসর্গ নিয়ে এবং একজন করোনা মুক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন। এই ১৩ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এ ছাড়া তিনজন করে রাজশাহী এবং নাটোরের বাসিন্দা।
আর একজন নওগাঁর বাসিন্দা। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনজন মারা গেছেন ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন দুজন। আরও দুজন করে মারা গেছেন ১, ১৬ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন ৩ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে।
এই একদিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ছয়জন। তার মধ্যে তিনজনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া দুজন রাজশাহীর এবং একজন নাটোরের বাসিন্দা।
করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে একই দিনে হাসপাতালে মারা গেছেন আরও ছয়জন। এদের মধ্যে তিনজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, দুজন নাটোরের এবং একজন নওগাঁর বাসিন্দা। করোনামুক্ত হয়ে মারা যাওয়া একমাত্র রোগীর বাড়ি রাজশাহীতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩০৯ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৪০২ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন।
Discussion about this post